নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা আচরণবিধি না মানলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ব্যবস্থা নেবেন। কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য কেউ এখন ভোট চাইতে পারবে না।
বুধবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি আলমগীর বলেন, মনোনয়ন ফরম কেনার সময় অনেকে মিছিল করেছেন, এগুলোও আমাদের আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না। পার্টি অফিসের ভেতরে তারা রাজনৈতিক কী কার্যক্রম করল না করল এটি নির্বাচনী আচরণবিধির মধ্যে পড়বে না। আর কোনো জায়গায় আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে কি না এগুলো রিটার্নিং কর্মকর্তারা দেখবেন। এলাকায় গাড়ি বা মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন করে কেউ এখন কোনো ধরনের প্রচারণা চালাতে পারবে না।
বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, আমরা বিভিন্ন দেশের নির্বাচন কমিশনারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা কেবলমাত্র তাদের লোকাল খরচ বহন করব। কিন্তু অন্য কোনো খরচ বহন করব না। অন্য দেশের নির্বাচনে আমাদের আমন্ত্রণ জানালে তারাও আমাদের খরচ বহন করে। নির্বাচন কমিশনাররা বাদে অন্য যারা সাংবাদিক বা অন্য সংস্থার লোকজন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসবেন, তারা নিজের খরচে এসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।
তিনি আরো বলেন, আরপিও অনুযায়ী পুলিশের কমিশনার এবং বিভাগীয় কমিশনারের নিচে যত কর্মকর্তা আছেন তারা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া বদলি করতে পারবেন না। কোনো বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীর আচরণ যদি নির্বাচন কমিশনারের কাছে মনে হয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিপক্ষে, তাহলে সেই কর্মকর্তাকে ওই জায়গা থেকে নির্বাচন কমিশন বদলি করে দিতে পারবে। সংবিধানে আছে নির্বাহী বিভাগের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশন যদি সহায়তা চায়, তাহলে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী বিভাগ সহায়তা করবে।