রাজনীতি

নীরব থাকা বুদ্ধিজীবীদের চিহ্নিত করা দরকার : তথ্যমন্ত্রী

বাংলার কথা বাংলার কথা

প্রকাশিত: ৫:৫৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, যখন সারাদেশের মানুষ আওয়াজ তুলবে, তখনই বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ হবে, সেই আওয়াজটা সচেতন নাগরিক ও নাগরিক সমাজের কাছ থেকে আসার কথা। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমি নাগরিক সমাজের একটি বিবৃতিও দেখিনি। কারণ নাগরিক সমাজে সময়ে সময়ে যেসব কথাবার্তা বলেন সেগুলো আমরা গুরুত্বসহকারে দেখি। কিন্তু আজ দেশজুড়ে একমাসেরও বেশি সময় ধরে অগ্নিসন্ত্রাস হচ্ছে, অনেক মানুষ তার বলি হচ্ছে, আগুনে ঝলসে যাচ্ছে, তা নিয়ে নাগরিক সমাজের কোনো বিবৃতি নেই। নাগরিক সমাজের কোনো বক্তব্য নেই। নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবী বলে যারা সমাজে পরিচিত তারা বিভিন্ন সময়ে বিবৃতি দেন, এখন নীরব আছেন। তাদের চিহ্নিত করা দরকার। তারা সুবিধাবাদী। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। সাংবাদিকদের অনুরোধ করবো, তাদের চিনে রাখতে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ‘আওয়ামী লীগ নাকি দল থেকে ভাগানোর রাজনীতি করছে’ বক্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বিএনপি থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছেন। সারাদেশে একেবারে কেন্দ্র থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ে পর্যন্ত বিএনপির নেতারা দল থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি নেতাদের কাছে আমরা প্রশ্ন, এ দলটি কেন করেন? যেই দল আপনাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্বাচনও করতে দেয় না। বিএনপি করলে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার নির্বাচন করতে পারবেন না। আপনারা দলটি করেন কেন? আজ কম্বলের তলা থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছেন। পরে রিজভীরা দেখবেন, তারা কয়েকজন ছাড়া আর কেউ নেই, ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী।

জাতীয় পার্টিসহ অন্য শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়েছে কি না? জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, শরিকদের কতগুলো আসন আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিতে পারে? সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। যারা নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য, তাদের নির্বাচিত করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ছাড় দেবে। জাতীয় পার্টি স্বাধীনভাবে নির্বাচন করছে। কোনো কোনো আসনে তারা আমাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে চায়। সবসময় এটা হয়ে আসছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। সমঝোতার ক্ষেত্রে কে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য, তা বিবেচ্য হবেই। যে কোনো সমঝোতায়, যে কোনো দলের ক্ষেত্রে। ১৫ বছর ধরে বিএনপি-জামায়াতের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টি আমাদের রাজনৈতিক সহযাত্রী হিসেবে কাজ করছে। দলটি ২০০৮ সালে আমাদের মহাজোটে ছিল। তাদের সঙ্গে কৌশলগত জোট হতে পারে, সেজন্যই তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করছে ও করতে চায়।