জাতীয়
‘দেশের আর্থসামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন’
Deprecated: Function get_the_author_ID is deprecated since version 2.8.0! Use get_the_author_meta('ID') instead. in /home/bkotha24/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
দেশের আর্থসামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। কোনো রাজনৈতিক পক্ষ যদি বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করে, তখন সার্বভৌমত্ব ঝুঁকিতে পড়ে। অন্যের সিদ্ধান্তের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে তখন তাঁরা প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। শনিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সম্মিলিত নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও রাজনৈতিক দায়িত্বশীলতা’ শীর্ষক গোলটেবিলে এসব কথা উঠে আসে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ম. হামিদ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি) ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, দৈনিক সংবাদ পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন প্রমুখ।
সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে দেশ গড়ার মূল দায়িত্ব হচ্ছে রাজনীতিকদের। দেশের উন্নয়নও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হয়। এ জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা থাকে না। স্বাধীনতার চেতনায় দেশে ও দেশের বাইরে থেকে হস্তক্ষেপ এলে তা মোকাবিলা করতে হবে। যারা এই চেতনায় বিশ্বাস করে না, তাদের দ্বারা ক্রমে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বেড়েই চলেছে। জাতীয় ইস্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঐকমত্য দেখা যায়, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধরে রাখার জন্য জাতীয় ইস্যুতে সবাইকে এক হতে হবে। নিজেদের স্বার্থের চেয়ে জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তাদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সমাজের কোনো কোনো জনগোষ্ঠী তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। কোনো সংগঠন যখন নিজে সিদ্ধান্ত নিতে না পারে, তখনই প্রশ্ন ওঠে যে তার ক্ষমতা নেই, শক্তি নেই। অন্য কেউ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় তখন বলা যায়, সংগঠনটি ভালো সংগঠন নয়। বাংলাদেশে কোনো কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নিজেরাই প্রশ্নের মুখে পড়বে যে তারা নিজেরা অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
গোলটেবিল অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার। তিনি বলেন, গণতন্ত্র উদ্ধারের নামে জ্বালাও-পোড়াওয়ের যে রাজনীতি চলছে, তার শুরুই হয়েছে গণতন্ত্রকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে। জনগণের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে রাজনৈতিক পক্ষ যখন কোনো বিদেশি শক্তিকে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য ডেকে আনে, বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দেয় এবং বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে, তখন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ঝুঁকিতে পড়ে যায়।