রাজনীতি

দেশের মানুষ নির্বাচন নিয়ে আস্থাহীনতায় আছে : জিএম কাদের

বাংলার কথা বাংলার কথা

প্রকাশিত: ৫:৪২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২৪

এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে, তবে ভোটাররা কেন্দ্রে আসবেন কি না বা ভোট দিতে পারবেন কি না আর ভোট দিলেও সঠিকভাবে গণনা করে ফলাফল সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের প্রার্থী জিএম কাদের।

তিনি বলেছেন, দেশের মানুষ নির্বাচন নিয়ে আস্থাহীনতায় আছে। আওয়ামী লীগ অন্যায়ভাবে সব দখল করে নেবে কি না এ নিয়ে ভোটাররা এখনো শঙ্কায়। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে চলমান সংকট ঘনীভূত হবে। দেশে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। নির্বাচনে জাপার কর্মী ও ভোটাররা টুকটাক বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সব নির্বাচনে এরকম কিছু একটা হয়। এখনো বড় ধরনের কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। আমরা ধারণা করছি সব ঠিক হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর মহানগরীর সেনপাড়ার স্কাই ভিউ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আলাপকালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনের প্রার্থী মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল, জেলার সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসীর, পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউর রহমান শাফি, রংপুর মহানগরের সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি জাহেদুল ইসলাম, জাতীয় যুব সংহতি রংপুর জেলা সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম, জেলা জাতীয় মহিলা পার্টির সম্পাদিকা নাহিদ ইয়াসমিন, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মাসুদ মাসুদ নবী মুন্না প্রমুখ।

রংপুরে ভোটের পরিবেশ সম্পর্কে জিএম কাদের বলেন, এখানে এখনো ভোটের পরিবেশ ভালো আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটা দেখার পালা। সব উপেক্ষা করে জাপার প্রার্থীরা মাঠে সরব আছে এবং থাকবে। এছাড়া সব জায়গায় ফ্ল্যাগ তুলে রাখতে এবার অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি। ৯০ পরবর্তী ৩০০ আসনে ফাইট করার যোগ্যতা পার্টির ছিল না, এখনো নেই। তাই এবাবের নির্বাচনে ৪০/৫০ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় বড় ফ্যাক্টর হবে না। আর নিজ দলের যারা নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন ভোটের পরে ভ্যারিফাই করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, রংপুর-৩ (সদর উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনের ৯ থেকে ৩৩নং ওয়ার্ড) আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দলীয় প্রতীক ‘লাঙ্গল’, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু ‘একতারা’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক ‘ডাব’, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সহিদুল ইসলাম ‘মশাল’, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম ‘আম’ এবং তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী ‘ঈগল’ প্রতীকে লড়ছেন। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তুষার কান্তি মন্ডলকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ভোটযুদ্ধে এ আসনে জিএম কাদেরসহ ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে সাধারণ ভোটারদের কাছে ‘লাঙ্গল’ ও ‘ঈগল’ রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আলোচনায়। এখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ জন ও পুরুষ ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন।