প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, মেধা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন থেকে উত্তরপত্র মূল্যায়নসহ প্রতিটি ধাপে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে। ইতিমধ্যে সব মহলে এ নিয়োগপ্রক্রিয়া প্রশংসিত হয়েছে। সময়ের পরিক্রমায় এ নিয়োগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রণীত Integreted Primary Education management Information System- (IPEMIS) ও রাজধানীর ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, সমৃদ্ধ স্বদেশ সৃষ্টি করতে এবং আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক তৈরি করতে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করতে হবে। এ জন্য শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে, কারণ শ্রেণিকক্ষে জাতি গঠন হয়, দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয় শ্রেণিকক্ষে। আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তৈরির প্ল্যাটফর্ম শ্রেণিকক্ষ।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৪ হাজার মাল্টিমিডিয়া সরবরাহ এবং ২৪ হাজার ল্যাপটপ বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াই-ফাই সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে।