সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীতে বেড়েছে যান চলাচল। অন্যান্য অবরোধের দিন গণপরিবহনে যাত্রী কিছুটা কম থাকলেও আজ খুব ভিড় দেখা গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে রাজধানীর গাবতলী, আমিনবাজার, মিরপুর ১০, মহাখালী, শ্যামলী, কাজীপাড়া শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে ঢাকার গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে গেছে দূরপাল্লার বাস। তবে যাত্রী কম থাকায় দূরপাল্লার বাস ছেড়েছে অল্প। গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় দেখা গেছে, অন্য সময় সকালের দিকে ৫ থেকে ১০টি বাস ছেড়ে যেত। আজ সেখানে সকাল থেকে সূর্যমুখী ও ঈগল নামে দুটি দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গেছে।
দূরের যাত্রী সংখ্যা কম। কিছুক্ষণ পরপর দুই-একজন করে আসছেন। তাদের একজন তন্ময় আহমেদ বলেন, ‘জরুরি কাজে ঢাকার বাইরে যেতে হবে। অবরোধ জেনেও এসেছি। ভেবেছি কোনোভাবে যেতে পারব। কিন্তু এসে মহাবিপদে পড়েছি। বিকালের মধ্যে মাগুরা থাকতে হবে। সেজন্য অনেক সকালে এসেছি। কিন্তু গাড়ির দেখা এখনও পেলাম না।’
পরিবার পরিজন নিয়ে আসা শাহেদ জানান, ‘আমগোর এসব অবরোধ মানলে চলব না। কাজ করে খাওন লাগে। ঢাকায় ছিলাম কামে, বাড়ি গিয়ে আবার কামলা দিমু। কোন সরকার আইলো গেল, কেডা এখন অবরোধ দিলো- এসব দেখনের সময় নাই আমগোরে।’
ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যাওয়ার সংখ্যা একেবারেই দুই-একটি হলেও কিছুক্ষণ পরপর টেকনিক্যাল থেকে সেলফি পরিবহনের বেশ কয়েকটি বাস ছাড়ছে। এই বাস মানিকগঞ্জ হয়ে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত চলাচল করে।
গাবতলী কোটবাড়ি এলাকার একজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা সমকালকে জানান, অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ গাড়ির সংখ্যা বেশি। সকালে একটু কম ছিল, তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে গাড়ির সংখ্যাও বাড়ছে। অনেক সময় যানজট সামাল দিতে হচ্ছে। তবে ঢাকা থেকে আসা-যাওয়া গাড়ির সংখ্যা খুব বেশি আজ দেখিনি।
ঈগল পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আলি মোহাম্মদ বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা একটা বাস ছেড়েছি। খুলনা গেছে। এখন একটা বাস ছাড়ব, সাতক্ষীরা যাবে। যাত্রী হলেই আমরা বাস ছাড়ব। সকালের গাড়িতে ১২-১৩ জন যাত্রী ছিল। এখন ১৮ জন যাত্রী হয়েছে। আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করব, তারপর বাস ছাড়ব।’