শিক্ষা

চলচ্চিত্রে সেন্সর আছ, শব্দ- বইতে সেন্সর চাই দাবিতে মানববন্ধন ও মৌন পদযাত্রা বা’শু’র

বাংলার কথা বাংলার

প্রকাশিত: ১০:২৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২৪

বানান শুদ্ধিভিত্তিক সামাজিক সংগঠন বা’শু (বানান শুদ্ধকারী) ২০১৫ সাল থেকে বানান শুদ্ধিসহ সার্বজনীন বাংলা ব্যবহারের সচেতনতায় কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাশু বাংলা চর্চা সংঘ গত ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪ তারিখে ‘শব্দ অবমাননা আইন দরকার’সহ ২১ দফা দাবিতে ‘শব্দ-বইতে সেন্সর চাই’ প্রতিপাদ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি, রাজু ভার্স্কয এর পাদদেশে মানববন্ধন শেষে বইমেলা প্রাঙ্গণ অবধি মৌন মিছিল সম্পন্ন করেছে।

তাদের ২১ দফা দাবি হচ্ছে-
১। ‘শব্দ অবমাননা আইন’ প্রতিষ্ঠা এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।
২। একাডেমি, সিটি কর্পোরেশন, ইন্সটিটিউট যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাকরণ হোক। যেমন সিটি কর্পোরেশন হতে পারে মহানগর সংস্থা, আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট হতে পারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা কেন্দ্র।
৩। বিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিসহ থানার অভিযোগপত্রে সাধু-চলিত মিশ্রণ পরিহার করে, প্রমিত ভাষার ব্যবহার চাই৷
৪। বান্ধObi বইটির মতো ভবিষ্যতে এধরনের জগাখিচুড়ি গল্পবই যাতে প্রকাশিত না হয় সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫। আদালতসহ সর্বস্তরে বাংলার প্রচলন নিশ্চিত করা।
৬। বাংলা ভাষার মধ্যে অবাধ বিদেশি শব্দের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে বাংলা ভাষার মৌলিক সত্ত্বার বিকৃতিকারীদের প্রতিহত করতে ”শব্দ অবমাননা আইন চাই।”
৭। নিজেদের স্বার্থে অবাধে বাংলিশ লেখালেখি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ নিষিদ্ধ করা।
৮। মায়ের ভাষার স্বাতন্ত্রিক সত্ত্বা রক্ষায় বাংলা একাডেমি সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করা।
৯। সর্বস্তরে শুদ্ধবাংলা নিশ্চিতকল্পে জেলায়-উপজেলায় বাংলা একাডেমির কার্যক্রম বিস্তৃত করা।
১০। তরুণ প্রজন্মের জন্য শুদ্ধ বাংলা চর্চার নির্ভর যোগ্য গণমাধ্যম সৃষ্টি করা।
১১। শুদ্ধ বাংলা ভাষার অবাধ প্রসার ও সার্বজনীন চর্চা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এবং অমীমাংসিত বানান শুদ্ধিকরণের ক্ষেত্রে দেশের প্রখ্যাত কবি সাহিত্যিক ও বাংলা বিশারদের সমন্বয়ে একটি ‘জাতীয় বাংলাভাষা পর্ষদ’ গঠন করা।
১২। পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় ও সংবেদনশীল বির্তর্কিত বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকা
১৩। বিসিএস, বোর্ড প্রশ্নের মান নির্ধারণ, নজরদারি ও প্রকাশে আরো দক্ষতাসম্পন্ন হওয়া
১৪। দেশিয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশ ও দেশের নামের বানানে ভুল করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা ও আর্থিক জরিমানার ব্যবস্থা
প্রণয়ন
১৫। বাংলা বানানে যাচ্ছেতাই নিয়ম বহির্ভূত স্বেচ্ছাচারিতা রোধ
১৬। বাংরেজি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাতে রূপান্তর, অশালীন জেলার নাম সংস্কার।
১৭। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলা শিক্ষার প্রসার ও কর্মশালার পরিকল্পনা গ্রহণ
১৮। চলচ্চিত্রের সংলাপে অশালীন শব্দ পরিহার করা
১৯। নাটকে আঞ্চলিক ভাষার বিকৃতি, সংলাপে অশালীনতা ও অশ্লীলতা পরিহার করতে হবে।
২০। রেডিও- অনলাইন প্লাটফর্মে অবাধে বাংলিশ, বাংরেজি ও অশুদ্ধ ভাষার ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ
২১। গুরুত্বপূর্ণ শব্দের / নামের বানান ভুলে প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক জরিমানার আওতাভুক্ত করা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বাশুর প্রতিষ্ঠাতা, ইসফাক আহমদ (জেনন জিহান), সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোলেমান, নারী বিষয়ক সম্পাদক শারমিন রিমা, প্রচার সম্পাদক জেফ কুন্স আনন্দ, লেখক শামসুল আলম জ্যাক, মামুনুর রশীদ, সংগীতশিল্পী পিএম বিপ্লব চৌধুরী প্রমুখ।