বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের। সময়সীমা কিন্তু আছে। এই সময়সীমা ঠিক রেখে তারা যদি সমন্বয় (অ্যাডজাস্টমেন্ট) করে, সেটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। আমাদের কিছু করার নেই। বিএনপি না এলেও আগামী সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে, বিএনপি আসবে না বলে কি নির্বাচন একতরফা হবে? বাকি যে দলগুলো আছে, সেগুলোকে উপেক্ষা করবেন? তারাও গণতন্ত্রের অংশ। নির্বাচনপ্রক্রিয়ার অংশ। অনেকগুলো দল শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। অনেকগুলো দল এই নির্বাচনে অংশ নেবে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, নির্বাচন পর্যবেক্ষক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন, সদস্য সচিব এবং অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ; দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া; পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক প্রমুখ। এর আগে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে কমনওয়েলথ প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট মিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ দলের নেতারা। বেলা ১১টায় শুরু হওয়া ওই বৈঠক শেষ হয় দুপুর ১২টায়। পরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব একটা সেল আছে। ওই সেলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও রিপোর্ট আসে। সব মিলিয়ে যাঁর নম্বর বেশি, তাঁকেই দলীয় মনোনয়নের জন্য চূড়ান্তভাবে বিবেচনা করা হবে। সবকিছু বিবেচনা করে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে আমরা কারো চিন্তা-ভাবনা নেতিবাচক কিছু ভাবছি না বা এই ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের অতটা মাথাব্যথা নেই। নির্বাচন হচ্ছে আমাদের দেশে। বাইরের কে নিষেধাজ্ঞা দিল, সেটা নিয়ে আমরা কেন মাথা ঘামাব?’ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে, কারো ইচ্ছায় তো আমরা নির্বাচন করব না। আমাদের ইচ্ছায় আমরা নির্বাচন করব। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করব। অন্য কারো নির্দেশে নয়, অন্য কারো নিষেধাজ্ঞায় নয়।