নির্বাচন
দেশে ও বহির্বিশ্বে এ নির্বাচন প্রশংসিত হবে : সিইসি
Deprecated: Function get_the_author_ID is deprecated since version 2.8.0! Use get_the_author_meta('ID') instead. in /home/bkotha24/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন অবাধ হতে হবে। দেশের স্বার্থে, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট মাথায় রাখতে হবে। তিনি বিশ্বাস করেন, সবার মিলিত প্রচেষ্টা ও দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। দেশে ও বহির্বিশ্বে এ নির্বাচন প্রশংসিত হবে, জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে।
আজ (৩১ ডিসেম্বর) রবিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বারবার দেখা করেছে, তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে। তারা আশা করে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। তারা যখন আশা করে, তখন তা বেশ শক্তভাবেই করে। তাদের এ আশা করাটা অন্যায় নয়। নির্বাচন কমিশন বা কোনো মন্ত্রী সনদ দিলে নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হয়ে যাবে না। এ ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবে। সংবাদকর্মীরা স্বাধীনভাবে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে গোপন বুথ ছাড়া সবখানে অবাধে বিচরণ করতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি দল বর্জন করেছিল, সে নির্বাচনে সহিংসতা হয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়েও কিছু বিতর্ক আছে। সার্বিকভাবে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে যেকোনো মূল্যে প্রমাণ করতে হবে, একটি সরকার তার দায়িত্বে থেকে নির্বাচন আয়োজন করতে পারে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে। নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দিতে সরকার বাধ্য। আগামী নির্বাচন নিয়ে কিছু রাজনৈতিক বাগ্বিতণ্ডা আছে। একটি অংশ নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা তাৎক্ষণিক বিচার করে সাজা দিতে পারেন, ভোটের দিন কিছু অসৎ উপায় অবলম্বনের চেষ্টা হয়ে থাকে—ব্যালট কেড়ে নিয়ে সিল মারা, কেন্দ্র দখল, পেশিশক্তির ব্যবহার। এসব হলে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রমুখী হবেন না। এসব ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিলে ভোটারদের মধ্যে আস্থা গড়ে উঠবে।